নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে শিশু কন্যা শর্মিলা আক্তারের ভাঙা হাত ব্যান্ডেজ করতে চার হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শর্মিলা নগরীর কাশীপুরের বাসিন্দা সৈয়দ হাওলাদারের কন্যা। শর্মিলার বাবা জানান, সোমবার সকালে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গেলে সেখান থেকে তাকে জরুরী মেডিকেল অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। মেডিকেল অফিসার শিশুটির ভাঙা হাত এক্সরে করতে দেন। এক্সরে রিপোর্ট নিয়ে ফের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসারের কাছে গেলে সেখান থেকে তাকে তৃতীয় তলার অর্থোপেডিক ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। সেই অর্থোপেডিক ডাক্তারের এক সহযোগী তার মেয়ের হাত ব্যান্ডেজ করে দেয়ার জন্য ৪ হাজার টাকা দাবী করেন। এরপর নিরুপায় হয়ে তিনি আবার জরুরী বিভাগে গেলে সেখানকার কর্তব্যরতরা জানায়, হাসপাতালে সরকারিভাবে গজ-ব্যান্ডেজসহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ নেই। যেগুলো কিনতে ৪ হাজার টাকা প্রয়োজন। এরপর তিনি তার এক নিকটাত্মীয় ছাত্রলীগ নেতার সহায়তায় ফোন দেন জরুরী বিভাগে কর্মরতদের কাছে। এসময় তারা ফোনে ওই ছাত্রলীগ নেতার কাছে শিশুর হাত ব্যান্ডেজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে বড় ডাক্তারের কাছে যেতে বলেন। পরে তিনি আবার অর্থোপেডিক চিকিৎকের কাছে যান। এসময় সেখানকার এক জুনিয়র অর্থোপেডিক চিকিৎসক ওই শিশুটির ভাঙা হাত ব্যান্ডেজ করে দেন। এর আগে ওই ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গজ-ব্যান্ডেজসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী বাইরে থেকে কিনে আনেন। এ ব্যাপারে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার বিনিময়ে একটি পায়সাও নেয়া যাবে না। এটা পুরোপুরি অনৈতিক। তিনি নিজেও চেয়েছিলেন এ ধরনের অভিযোগ আসুক। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply